তাজা খবরথানার সংবাদশীর্ষ সংবাদসম্পাদকের পছন্দসিদ্ধিরগঞ্জ থানা

পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে বিধবাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিদ্ধিরগঞ্জে এক বিধবা নারীকে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে মোঃ জামশেদ নামক একজন ট্রাক মালিক। তার কাছে বিধবার স্বামী ১২ লাখ টাকা পেত। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে বিধবার প্রতি কূ-নজর দেয় জামশেদ। পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে বিধবাকে ডেকে নিয়ে অফিসের দরজা বন্ধ করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় জামশেদ। এঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ায় পুলিশের মহা পরির্দশক, স্বরাষ্ট্র সচিব (প্রশাসন-১) ও জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী নারী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিমরাইল এলাকার মনির হাসানের বাড়ীর ভাড়াটিয়া আবুল কালামের ছেলে মোঃ জামশেদ আলীর সাথে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা করতেন ভূক্তভোগীর স্বামী। ব্যবসার লেনদেন বাবদ ভূক্তভোগীর স্বামী ১২ লাখ ২ হাজার ২৫৮ টাকা পাওনা হয় জামশেদের কাছে। এ অবস্থায় ভূক্তভোগীর স্বামী মারা যান। ফল দুই সন্তান নিয়ে মানবেতর অবস্থায় পড়েন ওই নারী। স্বামীর পাওনা টাকা পরিশোধ করতে ওই নারী জামশেদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে থাকে। আজ না কাল দিব বলে সময় ক্ষেপন করে জামশেদ। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির স্বরণাপন্ন হয় ওই বিধবা। এ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়। প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিধবাকে টাকা দেয়নি জামশেদ। গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় টাকা দেওয়ার কথা বলে বিধবাকে ডেকে নিয়ে যায় শিমরাইল সাজেদা হাসপাতাল সংলগ্ন জামশেদের অফিসে। বিধবা অফিসে গেলে জামশেদ দরজা বন্ধ করে বলে তোমাকে টাকা দিব কিন্তু তুমি আমাকে কিছু দিবেনা। তখন ভূক্তভোগী বলে আমি অসহায় আপনাকে কি দিব। এসময় জামশেদ বলে তোমার দেহ দিলেই হবে। এতে রাজি না হলে তার হাত ধরে টানা হেঁচড়া করে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায় জামশেদ। এক পর্যায়ে বিধবা নিজেকে মুক্ত করতে দরজা খুলে দৌড়ে বের হয়ে যায়। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে চলে আসার পর থেকেই জামশেদ টাকা দিতে অস্বীকার করার পাশাপাশি ওই দিনের ঘটনা কাউকে জানালে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে।
বিধবার অভিযোগ, ওই ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। তাই নিরুপায় হয়ে পাওনা টাকা উদ্ধার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের মহা পরিদর্শক, স্বরাষ্ট্র সচিব (প্রশাসন-১) ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
নাসিক ৩নং ওয়ার্ডের মুক্তিনগর এলাকার আলমগীর হোসেন বলেন, ভূক্তভোগীর স্বামী মারা যাওয়ার পর কয়েকবার বৈঠক হয়েছে জামশেদের সাথে। কিন্তু টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও দেয়নি। পাওনা টাকা না দিয়ে কুপ্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি ভূক্তভোগী আমাকে জানিয়েছে। আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছি আইনগত পদক্ষেপ নিতে। শুনেছি বিধবা প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে অভিযাগ করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জামশেদের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

 

Related Articles

Back to top button