তাজা খবরথানার সংবাদফতুল্লা থানাশীর্ষ সংবাদসম্পাদকের পছন্দ

নারায়ণগঞ্জবাসীকে একত্রিত হয়ে সকল কাজে সহযোগিতা করতে হবে – ডিসি

খবর নারায়ণগঞ্জ.কম: প্লাস্টিক দূষণ আর নয়” স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।

বুধবার (২৫ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অংশ নেন জেলার বিভিন্ন শিল্পকারখানার প্রতিনিধি, শিক্ষার্থীরা, পরিবেশ সংগঠনের কর্মী, এনজিও ও সুশীল সমাজের সদস্যগণ, এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

পরে সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের উপপরিচালক এ.এইচ.এম রাসেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন।

স্বাগত বক্তব্য দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মোবারক হোসেন। এরপর মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে পরিবেশবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং অধিদপ্তরের চলমান কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।

পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি উপস্থাপনা উপস্থাপন করেন সহকারী পরিচালক মো. রাসেল মাহমুদ।

জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, “পরিবেশ রক্ষায় ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র—সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সক্রিয় হতে হবে। আমার একা পক্ষে সব কাজ করা সম্ভব নয়। নারায়ণগঞ্জবাসীকে একত্রিত হয়ে সকল কাজে সহযোগিতা করতে হবে। আমার লোকবল কম, সবসময় এই লোকবল দিয়ে কাজ করা সম্ভব হয় না। পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। যার যার জায়গা থেকে এলাকা, দোকানের পাশের ময়লা পরিষ্কার রাখতে হবে।

সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান বলেন, “পরিবেশ রক্ষা কোনো একক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ ও সচেতনতা।”

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আলমগীর হুসাইন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

আলোচনায় উপপরিচালক এ.এইচ.এম রাসেদ বলেন, “পরিবেশের আবেদন সার্বজনীন। একে রক্ষা করতে হলে সকলের সম্মিলিত দায়িত্ববোধ জরুরি।” তিনি সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বর্জনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠান শেষে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় জনগণ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাঝে ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Related Articles

Back to top button