ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে রেলের বর্ধিত ভাড়া কমানোর দাবি যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের
খবর নারায়ণগঞ্জ.কম:
প্রায় আট মাস বন্ধ থাকার পর গত ১ আগস্ট থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আর এই ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে চালু হওয়ার পর থেকেই পাঁচ টাকা বাড়তি ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। তখন থেকেই নারায়ণগঞ্জ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম এই বর্ধিত ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়ে আসছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ স্টেশনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাতায়াতব্যবস্থা সহজ, আরামদায়ক ও যাত্রীবান্ধব করার জন্য রেলকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। কিন্তু লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে রেলকে তিলে তিলে ধ্বংস করা হচ্ছে। রেলের মাইল প্রতি দূরত্ব অনুযায়ী ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ভাড়া ১৫ টাকার অনেক কম হয়। যেহেতু সর্বনিম্ন ভাড়া ১৫ টাকা সে হিসেবে আমরা সেটা মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু সেই ভাড়া বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে নুন আনতে পান্তা ফুরায় এই বাস্তবতায় পাঁচ টাকা বৃদ্ধি অনেক বেশি। আমরা বলতে চাই, অনতিবিলম্বে রেলের ভাড়া ২০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হোক। করোনার আগে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ১৬ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করতো। করোনার কারণে কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এখনো কমই রয়েছে। আমরা দাবি করছি, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ১৬ জোড়া ট্রেন দিয়ে বগির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হোক। যাত্রীরা যেন ট্রেনে চড়তে উৎসাহিত হন সে ব্যবস্থা করা হোক।
এসময় উপস্থিত ছিলো নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এ বি সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি হিমাংশু সাহা, গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, সমমনা সভাপতি দুলাল সাহা ও সুশাসনের জন্য জেলা সভাপতি ধীমান সাহাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

