তাজা খবরথানার সংবাদরাজনীতিশীর্ষ সংবাদসম্পাদকের পছন্দসোনারগাঁ থানা

সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের নাটকীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রে নালিশ দিবে – আব্দুল হাই 

সোনারগাও প্রতিনিধি: আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের চলছে নানান নাটকীয় কর্মকাণ্ড। খুব ঘটা করে সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকা বিভাগীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম উপস্থিত থেকে এড. শামসুল ইসলাম ভূইয়াকে সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম’কে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কায়সার হাসনাতকে সাধারণ সম্পাদক করে তিনজনের একটা কমিটি করে দিয়ে যান। পরবর্তীতে এই তিনজন মিলে ৭১ সদস্যের একটি প্রস্তাবিত কমিটি করে জেলা আওয়ামী লীগের কাছে ও কেন্দ্রে জমা দেন। সেই কমিটি অনুমোদন দেওয়ার আগের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে প্রস্তাবিত কমিটি নিয়ে এক নাটকীয় পরিচিত সভা করেন।
এর বেশ কিছুদিন পরে কেন্দ্রের নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগ প্রস্তাবিত কমিটির ১৮ জনকে বাদ দিয়ে নতুন করে ১৮ জনকে যুক্ত করে ৭১ সদস্যের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন। এর পর শুরু নাটকের নতুন কাহিনী এড. শামসুল ইসলাম ভূইয়া, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম ও কায়সার মিলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের কোনো লিখিত উত্তর কেন্দ্র থেকে এখনো জানানো হয়নি। তবে এড. শামসুল ইসলাম ভূইয়া, ইঞ্জিনিয়ার মাসুম ও কায়সার হাসনাত মিলে অনুমোদিত কমিটিকে বাইপাস করে প্রস্তাবিত কমিটি নিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট পালনের জন্য প্রস্তাবিত কমিটি নিয়ে এক নাটকীয় বর্ধিত সভা করেন তারা। এর দুইদিন পর ১২ আগস্ট প্রস্তাবিত কমিটি নিয়ে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান, সেখানে অনুমোদিত কমিটির কাওউকে জানানো হয়নি এবং নেওয়াও হয়নি।
এবিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, এড. শামসুল ইসলাম ভূইয়া, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম ও কায়সারের প্রস্তাবিত কমিটির এমন নাটকীয় কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আমি কেন্দ্রে নালিশ দিবো। তারা কেনো অনুমোদিত কমিটিকে বাদ দিয়ে প্রস্তাবিত কমিটি নিয়ে লাফালাফি করছে জানি না বিষয়টি কেন্দ্রকে জানানো প্রয়োজন তাই জানাবো। এই ধরনের কর্মকাণ্ডে দলের অনেক ক্ষতি হতে পারে এমনকি এটা নিয়ে জাতীয় নির্বাচনেও সমস্যা হতে পারে।
একই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. ভিপি বাদল বলেন, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সেক্রেটারির এই ধরনের কাজ করাটা ঠিক হয়নি। শোকের মাসে এই ধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনা দলের জন্য ক্ষতিকারক। তারা এক প্রকার কেন্দ্রের নির্দেশনা অমান্য করেছে আমরা বিষয়টি দেখবো।
এই বিষয়ে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের অনুমোদিত কমিটিতে সদস্য পদে থাকা সোনারগাঁওয়ে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী এরফান হোসেন দীপ বলেন, সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটি নিয়ে যা করলেন তা ইতিহাসে বিরল আমি এর আগে কখনো বাংলাদেশ কোথাও এমন ঘটনা ঘটতে দেখি নাই। প্রস্তাবিত কমিটি থেকে যারা বাদ পড়ছে তারাও আওয়ামী লীগ করে আর অনুমোদিত কমিটিতে যারা যুক্ত হয়েছে তারাও আওয়ামী লীগ করে। প্রস্তাবিত কমিটির যারা বাদ পড়ছে তাদের নিয়েই কিন্তু আমরা মিলে মিশে থাকতে পারতাম কারণ আমরা তো তাদের না করি নাই যে কোনো মিটিং মিছিলে আসবেন না। কিন্তু তারা অনুমোদিত কমিটির নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে রাজনীতি করবে এটা হতে পারে না আমি এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

Related Articles

Back to top button