তাজা খবরথানার সংবাদফতুল্লা থানাশীর্ষ সংবাদসম্পাদকের পছন্দ
কাশীপুর ৬নং ওয়ার্ডে মাদকের রমরমা বাণিজ্য, বাড়ছে অপরাধ পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আর্কষন
নিজস্ব প্রতিনিধি: আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে উন্নয়নের অনেক ছোঁয়া লেগেছে কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদে। কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদে বর্তমানে মাদক এক ভয়াবহ সমস্যার নাম। বিভিন্ন প্রকার মাদকের বিস্তার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এ ইউনিয়নে। এখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রকার মাদক। প্রতি অলিগলিতে দুই তিনটি করে মাদকের স্পট রয়েছে। মাদকাসক্তের কারণে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, পারিবারিক কলহ, এবং ভয়াবহ খুনের ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে সচেতন মহল।
কাশীপুরের ৬নং ওয়ার্ডে মাদকের রমরমা বাণিজ্য, বাড়ছে অপরাধ। বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবস্যাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ঘটছে মারামারির মতো ঘটনা। এছাড়াও এ মাদক ব্যবসায়ীরা দেহব্যবসা সহ বিভিন্ন ভাবে ব্লাক মেইলও করে থাকে। মাসখানিক আগেও এখান থেকেও মাদক ব্যবসয়ী ও ব্লাক মেইলারদের গ্রেফতার করে র্যাব।সাথে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পরতে হচ্ছে ইভটিজিংয়ের মুখে।
গত এক মাসের অনুসন্ধানে জানা গেছে, কাশীপুরে সাধারণত পাওয়া যায় তিন ধরনের ইয়াবা। প্রথম ধরনের ইয়াবা ট্যাবলেটের বেশির ভাগ সবুজ বা গোলাপি রঙের হয়। এর ঘ্রাণ অনেকটা বিস্কুটের মতো হয়ে থাকে। দ্বিতীয় ধরনের ইয়াবা ট্যাবলেটের দাম তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু এটিও নেশা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। তৃতীয় ধরনের ট্যাবলেটটি আরও সস্তা এবং নেশায় আসক্তদের কাছে এটি ভেজাল বলে পরিচিত। ইয়াবা সেবনকারীদের মধ্যে প্রচলিত ধারণা অনুসারে, চিতা নামের পিলটি সবচেয়ে নিম্নমানের ইয়াবা ট্যাবলেট হিসেবে গণ্য হয়। এর গায়ে ক্ষুদ্র চিহ্ন থাকে। অন্যদিকে গোলাপ জল নামের ইয়াবা পিলকে উচ্চমানের ট্যাবলেট হিসেবে গণ্য করা হয়। ইয়াবা ট্যাবলেটের গায়ে ইংরেজি ডাব্লিউ ওয়াই লেখা থাকে। ওয়াই লেখার ধরন দীর্ঘ হলে এবং ইয়াবার রঙ পুরোপুরি গোলাপি হলে ধারণা করা হয় সেটি ইয়াবা হিসেবে ভালোমানের।
মঙ্গলবার(২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার ও কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিসান হায়দার উজ্জল জানান, এক সময় ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সেবন উচ্চবিত্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন তা সবার হাতের নাগালে। এ কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত যুবকদের মধ্যেও মাদকের বিস্তার ঘটছে। নেশাজাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করে আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুণ সমাজ। মাদকের ছোবল থেকে শিশু, কিশোর, তরুণ, যুবক, বৃদ্ধ কেউ বাদ যাচ্ছে না ।ছেলে-মেয়েরা তাদের সহজ-সরল মাকে স্কুল-কলেজের বেতন কিংবা পোশাক-প্রসাধনী কেনার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে নেশাখোর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠছে। ফলে নিজের অৎান্তেই মাদকের বিষাক্ত থাবায় নিজেকে সঁপে দিচ্ছে। মাদকের ভয়াবহতায় ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে পাঠাতেও ভয় পাচ্ছে। মাদক প্রতিরোধে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, পাশেই একটি স্কুল রয়েছে সেখানে মেয়েরা যাওয়ার সময়ও মদকব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের হাতে ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে। আমার একার পক্ষে দমন করা সম্ভব নয় আমি পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আর্কষন করে বলতে চাই ৬নং ওয়ার্ডে একটি বিট পুলিশিং জরুরি দরকার না হলে মাদকে ভয়াবহ রুপ নিবে এ ওয়ার্ড। মাদক কারবারিদের নিয়মিত মামলায় আদালতে পাঠায় পুলিশ। এর কিছুদিন মাস পরে জেল খেটে এসেই শুরু করে পুরনো সেই মাদক ব্যবসা। কোন লাভ হয়না প্রতিবাদ করে। বরং জেল থেকে বেরিয়ে হুমকি দামকির মুখে পরতে হয়। এজন্য এলাকার লোকজনও এগিয়ে আসতে চায় না মাদক প্রতিহত করতে।

