তাজা খবরধর্ম ও শিক্ষাবন্দর থানাসম্পাদকের পছন্দ

লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসবে পুণ্যার্থীদের উপ‌চের পড়া ভীড়

খবর নারায়ণগঞ্জ .কম: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপ‌জেলার লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে শুক্রবার শুরু হওয়ে‌ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র অষ্টমী স্নানোৎসব । লাখ লাখ তীর্থযাত্রী পাপ মুক্তির পুণ্য বাসনায় অংশ নেন এ স্নানোৎসবে। করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকায় এবার পুণ্যার্থী ছিল উপ‌চে পড়া ভীড় । শান্তিপূর্ণভাবে স্নানোৎসব সম্পন্ন করতে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা।
শ‌নিবার (৯ই এ‌প্রিল) স্নান উৎসবের ২য় দি‌নে ছিল পুণ্যার্থীদের উপ‌চে পড়া ভীড় । স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে তিন দিনব্যাপী লোকজ মেলা চল‌ছে ।
বন্দর উপজেলার সীমানা ভাগে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ । এ নদের তীরে অবস্থিত হিন্দুধর্মালম্বীদের তীর্থস্থান লাঙ্গলবন্দ । হিন্দু দেবতা পরশুরাম হিমালয়ের মানস সরোবরে গোসল করে পাপমুক্ত হন । লাঙ্গল দিয়ে চষে হিমালয় থেকে এ পানিকে ব্রহ্মপুত্র নদরূপে নামিয়ে আনেন সমভূমিতে । পৌরাণিক এ কাহিনীকে স্মরণ করে প্রতি বছর চৈত্র মাসে নির্ধারিত দিনে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ তীর্থযাত্রী পুণ্য লাভের আশায় জড়ো হন । ‘হে মহাভাগ ব্রহ্মপুত্র হে লৌহিত্য তুমি আমার পাপ হরণ কর’ পবিত্র এ মন্ত্র উচ্চারণে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রেমতলা, অন্নপূর্ণা, রাজ, কালীঘাটসহ ১৮টি ঘাটে ও নদের বিভিন্ন স্থানে স্নান উৎসবে যোগ দেয় ।
স্নানোৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারসহ প্রায় দুই হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কাজ করছে । উপর থেকে নজর রাখতে ওয়াচ টাওয়ার এবং সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করেন জেলা পুলিশ প্রশাসন। পুলিশের কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রশাসনের নিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান থেকে তীর্থস্থানের পাশে বসানো হয়েছে অস্থায়ী ক্যাম্প । এসব ক্যাম্পে পুণ্যার্থীদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসাসেবাসহ তাদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে বা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিপুলসংখ্যক ফায়ার সার্ভিসের কর্মী নিয়োজিত রয়েছে।

Related Articles

Back to top button