বিশৃঙ্খলা হলে এলাকার নেতৃবৃন্দকে জবাবদিহি করতে হবে – এড. সাখাওয়াত
খবর নারায়ণগঞ্জ.কম :
শারদীয় দূর্গোৎসব সুন্দর সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় গলাচিপা রামকানাই জিউর মন্দিরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক শংকর কুমার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশের হাজার বছরের সংস্কৃতি হলো আমরা মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাস করি। যে এলাকায় আমার জন্ম সেটা একটা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা এবং যারা আমার বন্ধু ছিলো তাদের অধিকাংশই ছিলো হিন্দু। আমার উদ্দেশ্য হলো, নারায়ণগঞ্জে যে সাতটি থানা রয়েছে আগামী ৯ অক্টোবর সনাতন ধর্মের যে প্রধান ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হবে সেটা যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য আজকে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমাদের নেতা তারেক রহমান গত দুইদিন পূর্বে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, সারা বাংলাদেশে যারা নেতৃবৃন্দ রয়েছেন তাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ এলাকা পাহারা দিবেন। যাতে করে আসন্ন দূর্গা পূজায় কোন বিশৃঙ্খলা না হয়। যদি হয় তাহলে যেখানে বিশৃঙ্খলা হবে সে এলাকার নেতৃবৃন্দকে জবাবদিহি করতে হবে। এছাড়াও জেলা প্রশাসকরে সম্মেলন কক্ষে প্রাথমিক আলোচনা সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্রতিটি থানা হিন্দু-মুসলিম সমন্বয় করে কমিটি করা হবে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য। যেহেতু একটি বিশেষ সময় অতিবাহিত হচ্ছে তাই বিগত বছর গুলোর তুলনায় এবছর যেন আরো সুন্দর, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দূর্গোৎসব পালন করতে পারে সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
প্রধান বক্তা এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আপনাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব আপনারা উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে পালন করবেন সেটাই আমরা চাই। কারন অতীতের বিভিন্ন সময় আমাদের মাঝে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে সেটা নস্যাৎ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র আমাদের একার চেষ্টায় সেটা সম্ভব নয় যদি আপনারা আমাদের পাশে থাকেন তাহলেই সম্ভব। বাংলাদেশ কারো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক বা ধর্মীয় রাষ্ট্র নয়। বাংলাদেশ ১৮কোটি মানুষের দেশ, এখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলেই বসবাস করে। সকলেরই সমান অধিকার রয়েছে। একটি গোষ্ঠী চায় ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট হোক। কিন্তু না আমরা চাই সম্পর্ক ভালো হোক। তবে সেটা কোন খবরদারীর নয় অবশ্যই সেটা হবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। মতবিনিময় সভায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও এফবিসিসিআই এর সাবেক চেয়ারম্যান প্রবির কুমার সাহা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পরিতোষ কান্তি সাহা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. সরকার হুমায়ুন কবীর, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. আনোয়ার প্রধান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদিপ কুমার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।